আপনার প্রয়োজনিয় মাসালা বা ফাতুয়া জানতে
mufti.najar@gmail.com,
এই ই-মেইলে মুফতি নজরুল ইসলাম সাহেব বরাবর লিখুন । আপনার মাসালার জবাব আমরা আমাদের ব্লগে লিখে জানাবো।
দয়া করে আপনার নাম, ঠিকানা ও কোথা হতে পাঠালেন মেইলে লিখে দিবেন।
মাওলানা আব্দুল মাজিদ এর জিজ্ঞাসা : চেয়ারে বসে নামাজ পড়া জায়েয আছে কি না? যদি জায়েয থাকে তাহলে কিভাবে পড়তে হবে। অন্য কোনো বা টেবিলের উপর সেজদা করতে হবে কি না?
খ. একজন বৃদ্ধ লোক রুকু ও সেজদা করতে অক্ষম। কিন্তু দাঁড়াতে সক্ষম। তিনি কীভাবে নামাজ পড়বেন? উল্লেখ্য তিনি তাশাহুদের সুরতে বসতেও অক্ষম।
জবাব : ক. যে ব্যক্তি কোনোভাবেই সঠিক নিয়মে রুকু সেজদা করে নামাজ আদায় করতে সক্ষম নয়, তার জন্য চেয়ারে বসে নামাজ আদায় করা জায়েয আছে। এক্ষেত্রে সেজদার জন্য রুকু থেকে বেশি মাথা ঝুকাতে হবে। তবে সেজদার জন্য সামনে চেয়ার বা টেবিল রাখবে না।
খ. যে বৃদ্ধলোক রুকু সেজদা করতে অক্ষম এবং তাশাহুদের সুরতেও বসতে অক্ষম। সে দাঁড়িয়ে বা চেয়ারে বসে নামাজ আদায় করবে। এক্ষেত্রে পূর্বোক্ত নিয়মে ইশারায় রুকু সেজাদা করবে।
(আল বাহরুর রায়েক ২/১৯৯, ফাতাওয়া আলমগিরী ১/১৩৬)
১) আল্লাহর রাস্তা বলতে কি শুধুই জিহাদ বুঝায় না কি তাবলীগও বুঝায়?
প্রশ্ন:
In Hadis, it is mentioned that “One morning or one evening (one half of a day)in the road of Allah (Allah’s rasta) is better than all of this world.
I want to know that the above Hadis is applicable only for Jihad? or this will be applicable for our Tablig. Will we get this benefit when we go to Tablig?
JazakAllah.
Mamun Hossain
This mail is sent via Ifta Department on Jamia Rahmania Arabia Dhaka’s website http://rahmaniadhaka.com
This mail is sent via Ifta Department on Jamia Rahmania Arabia Dhaka’s website http://rahmaniadhaka.com
উত্তর:
হাদীসটি নবী সা. মৌলিকভাবে জিহাদের ফযিলত বর্ণনা করার উদ্দেশ্যেই বলেছিলেন। তবে এর জন্য তিনি ব্যপক শব্দ “আল্লাহর রাস্তা” ব্যবহার করেছেন বিধায় যে কোন দ্বীনের কাজের রাস্তা এই ফযিলতের অন্তর্গত হবে। তাই কেউ তাবলীগে গিয়েও এই ফযিলত অর্জন করতে পারবে।
২) ফজরের সুন্নত নামাজের গুরুত্ব
প্রশ্ন:
ফজরের সুন্নত নামাজের কি বিশেষ কোনো গুরুত্ব আছে? ফজরের
নামাজ কাজা হয়ে গেলে কি সুন্নতসহ আদায় করতে হয়?
শুনেছি, কোন কারণবশতঃ
সূর্য ওঠার আগে ঘুম থেকে উঠতে নাপারলে সূর্য ওঠার
পর যখনই ঘুম থেকে ওঠা হয় তখনই ফজরের নামাজ পড়ে নিতে হবে।
প্রশ্ন হচ্ছে- এরকম সময় কাযার নিয়ত করতে হবে কিনা এবং
সুন্নতসহ পড়তে হবে কিনা। বিস্তারিত জানালে উপকৃত হবো।
উত্তর:
উত্তর:
ফজরের সুন্নত খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
কোনো কারণে কাযা হয়ে গেলেও তা আদায় করতে হয়।
একমাত্র ফজরের কাযার ক্ষেত্রেই এই হুকুম।
অন্য কোন ওয়াক্তের সুন্নত কাযা হয়ে গেলে তা আদায় করার
এত তাগিদ নেই। কোনো কারণবশতঃ ফজরের সময়
ঘুম না ভাঙলে জাগ্রত হওয়ার সাথে সাথেই তা সুন্নতসহ
আদায় করে নিতে হবে।
এক্ষেত্রে কাযার নিয়ত করার প্রয়োজন নেই।
সূত্র: মাসিক মদিনা
সূত্র: মাসিক মদিনা
প্রশ্ন ০৮/০৬/২০১১ ইং
Md. Aminul islam
infoaminul@yahoo.com
আসসালামু আ'লাইকুম,
আমরা জানি মেরু অঞ্চলে বছরে ছয় মাস দিন এবং ছয় মাস রাত থাকে।তাহলে ওই সময়ে তাদের নামাজের সময়সূচি কেমন হবে?কুরান বা হাদিসে এ সম্পর্কে কিছু বলা আছে??
দয়া করে আমার প্রশ্নের উত্তর আমার ই-মেইল পাঠিয়ে দিন।
আমরা জানি মেরু অঞ্চলে বছরে ছয় মাস দিন এবং ছয় মাস রাত থাকে।তাহলে ওই সময়ে তাদের নামাজের সময়সূচি কেমন হবে?কুরান বা হাদিসে এ সম্পর্কে কিছু বলা আছে??
দয়া করে আমার প্রশ্নের উত্তর আমার ই-মেইল পাঠিয়ে দিন।
উত্তর
মেরু অঞ্চলে ৩/৬ মাস দিন অথবা রাত এ সময় নামায অনুমানের ভিত্তিতে পড়বে ( মানে হল প্রতি দিন ৫ ওয়াক্তে সময়ের যে ব্যবধান সে হিসাবে )।
দলিল হিসাবে এই হাদীস দেওয়া হল,
”চল্লিশ দিন পযন্ত দাজ্জালের ধ্বংস আর তান্ডবলীলা চলতে থাকবে। এই চল্লিশ দিনের একটি দিন এক বৎসরের সমতুল্য এবং দ্বিতীয় একটি দিন একমাস আর তৃতীয় একটি দিন এক সপ্তাহের সমতুল্য হবে। অবশিষ্ট দিনগুলো অবশ্য স্বাভাবিক দিনের মতই হবে। নির্ভরযোগ্য বর্ণনায় পাওয়া যায়, দিনের এই প্রলম্বিত হওয়ার মূল উদ্দেশ্য হল, দাজ্জাল যেন ধোঁকা এবং প্রবঞ্চনায় নিক্ষিপ্ত হয়। কেননা অভিশপ্ত দাজ্জাল সূযের স্বাভাবিক গতিকে ঠেকিয়ে রাখার দুরভিসন্ধি করবে। মহান রাব্বুল আলামীন তাঁর সীমাহীন কুদরতের বদৌলতে দাজ্জালের ইচ্ছা অনুযায়ী সূযের গতিকে স্তব্ধ করে দিবেন। খোদায়ী নির্দেশে সূযও স্থির হয়ে যাবে।
এ ঘটনা শুনার পর সাহাবায়ে কেরাম (রাযিঃ) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নিকট জানতে চাইলেন– ‘ যেদিন এক বৎসরের সমতুল্য হবে, সেদিন কি একদিনের নামায আদায় করতে হবে না পূর্ণ এক বৎসরের ? মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন– ‘সময় হিসাব করে আনুমানের ভিত্তিতে এক বৎসরেরই নামায আদায় করতে হবে।
তিরমিজি ২য় খন্ড
পৃষ্টা ৪৮,দাজ্জালের ফেতনা অধ্যায়
নাউয়াস ইবনে সাময়ান রাজিঃ থেকে রেওয়ায়েত
পৃষ্টা ৪৮,দাজ্জালের ফেতনা অধ্যায়
নাউয়াস ইবনে সাময়ান রাজিঃ থেকে রেওয়ায়েত
মুফতি নজরুল ইসলাম কাসেমী
তাঁতীবাজার,ঢাকা।
Jun 22, 2011 by
প্রশ্ন: ড. জাকির নায়েকের বক্তব্য শুনা যাবে কিনা?
From: Ahsan Uddin Ahmad
Subject: Dr. Zakir Nayek
Country : Bangladesh
Mobile :
Message Body:
What are the comments of you about Dr. Zakir Nayek? Is he OK? Should we hear or ignore his speeches?
উত্তর:
জাকির নায়েক একজন সাধারণ গবেষক ও ইসলাম প্রচারক। তিনি নিয়মতান্ত্রিক কোন আলেম নন। বিধর্মীদের মাঝে তার বক্তব্য অত্যন্ত কার্যকরী দেখা গিয়েছে। তবে মাসাআলা বর্ণনা করার ক্ষেত্রে হক্কানী উলামায়ে কেরামের মত ও পথ থেকে কিছুটা ভিন্নতা তার মধ্যে পাওয়া যায়। তাই তার বক্তব্য শুনতে কোন সমস্যা নেই, তবে তার থেকে মাসআলা মাসায়েল জানতে চাওয়া ও তার দেওয়া মাসআলার উপর কোন হক্কানী আলেমের সমর্থন ছাড়া আমল করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
via
Ifta Department on Jamia Rahmania Arabia Dhaka
Jun 22, 2011 by
প্রশ্ন: ড. জাকির নায়েকের বক্তব্য শুনা যাবে কিনা?
From: Ahsan Uddin Ahmad
Subject: Dr. Zakir Nayek
Country : Bangladesh
Mobile :
Message Body:
What are the comments of you about Dr. Zakir Nayek? Is he OK? Should we hear or ignore his speeches?
উত্তর:
জাকির নায়েক একজন সাধারণ গবেষক ও ইসলাম প্রচারক। তিনি নিয়মতান্ত্রিক কোন আলেম নন। বিধর্মীদের মাঝে তার বক্তব্য অত্যন্ত কার্যকরী দেখা গিয়েছে। তবে মাসাআলা বর্ণনা করার ক্ষেত্রে হক্কানী উলামায়ে কেরামের মত ও পথ থেকে কিছুটা ভিন্নতা তার মধ্যে পাওয়া যায়। তাই তার বক্তব্য শুনতে কোন সমস্যা নেই, তবে তার থেকে মাসআলা মাসায়েল জানতে চাওয়া ও তার দেওয়া মাসআলার উপর কোন হক্কানী আলেমের সমর্থন ছাড়া আমল করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
via
Ifta Department on Jamia Rahmania Arabia Dhaka